ইয়াহুর দুই সাবেক কর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টন এবং জ্যান কুম ২০০৯ সালে হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠান করেন৷ মূলত ইংরেজি শব্দ ‘হোয়াটস আপ' থেকে ‘হোয়াটসঅ্যাপ' নামটি নিয়েছেন তারা৷ আর ধারণাটা অনেকটা স্কাইপের মতোই৷ এক স্মার্টফোন থেকে আরেক স্মার্টফোনে মেসেজ পাঠানো যাবে বিনা খরচায়, মুঠোফোন সেবাদাতার ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে৷ এক্ষেত্রে বাড়তি কোনো ডাটা চার্জ প্রযোজ্য হবে না৷ স্কাইপও একই পদ্ধতিতে ভয়েস ডাটা ট্রান্সফার করে৷
- কারণগুলো হলোঃ
- ১. হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাড নেই।
- ২. হোয়াটসঅ্যাপ ইউজ করতে ফেসবুক একাউন্ট দরকার হয় না। যে কোনো ফোন নম্বর দিয়ে খোলা যায়।
- ৩. কোয়ালিটিফুল ভিডিও এবং ক্লিয়ার অডিও কল।
- ৪. ছবি আদান প্রদান করলে সেটার সাইজ ঠিক থাকে, একদম ক্লিয়ার।
- ৫. চাইলেই যেকোনো কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে হোয়াটসঅ্যাপ কানেক্ট করা যায় এবং কাজ শেষে এক ক্লিকে ডিসকানেক্ট করা যায়।
- ৬. হোয়াটসঅ্যাপে পিডিএফ,ডকস,জেপিজি, এক্সেল শীট ইত্যাদি শেয়ার করা যায়। মেসেন্জারে শুধু ছবি (জেপিজি) শেয়ার করা যায়।
- ৭. হোয়াটসঅ্যাপ অনেকটা স্মুথ এবং ফাস্ট যার ফলে দ্রুত চ্যাট করা যায়।
- মেসেন্জারে এই ⤴️ সুবিধা গুলো নেই, এজন্যই হোয়াটসঅ্যাপ এত জনপ্রিয়।
- তবে, টেলিগ্রাম ও কোনো অংশে কম নয়। টেলিগ্রামে একটা ম্যাসেজে ২ জিবি পর্যন্ত ফাইল শেয়ার করা যায়, আর হোয়াটসঅ্যাপে মাত্র ১০০ এমবি। 🙂
হোয়াটসঅ্যাপসের জনপ্রিয়তার আরো কারণ গুলো হলো।
- হোয়াটসঅ্যাপ এর সকল ফিচার গ্রাহক বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন আর একটার কোন প্রিমিয়াম সেবা নেই ।
- সকল গ্রাহক হোয়াটসঅ্যাপে সকল সেবা নিতে পারবেন কোন পেমেন্ট ছাড়াই ।
- হোয়াটসঅ্যাপ বলপ্রয়োগ করে আপনাকে দিয়ে কোন ধরনের এড দেখাবেনা ।
- অডিও এবং ভিডিও কল এ ছাড়াও আপনি ভয়েস ক্লিপ পাঠাতে পারবেন।
- সকল ধরনের ডকুমেন্ট পাঠাতে পারবেন।
- তুলনামূলক অ্যাপসটি আপনার ফোনের কোন জায়গা দখল করবে।
এসকল কারণেই হয়তোবা হোয়াটসঅ্যাপের এত জনপ্রিয়তা

Post a Comment