২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২২
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২২
সংজ্ঞা : এই নীতিমালায়
১.১ ‘বোর্ড' বলতে সরকার কর্তৃক আইন দ্বারা স্বীকৃত কোন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বুঝাবে
১.২ কলেজ/সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে দেশের কোন বোর্ড হতে উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের স্তরে পাঠদানের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত বা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে,
১.৩ ‘নির্ধারিত ফরম’ বলতে ভর্তির জন্য নির্ধারিত অনলাইন আবেদন ফরম বুঝাবে, ১.৪ ‘শিক্ষার্থী’/‘প্রার্থী' বলতে ছাত্র ও ছাত্রী উভয়কে বুঝাবে।
১.১ ‘বোর্ড' বলতে সরকার কর্তৃক আইন দ্বারা স্বীকৃত কোন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বুঝাবে
১.২ কলেজ/সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে দেশের কোন বোর্ড হতে উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের স্তরে পাঠদানের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত বা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে,
১.৩ ‘নির্ধারিত ফরম’ বলতে ভর্তির জন্য নির্ধারিত অনলাইন আবেদন ফরম বুঝাবে, ১.৪ ‘শিক্ষার্থী’/‘প্রার্থী' বলতে ছাত্র ও ছাত্রী উভয়কে বুঝাবে।
ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন:
2.1 ২০২০,২০২১,২০২২ সালে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে ।
২.২ বিদেশি কোন বোর্ড বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর দফা (২.১) এর অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।
ভর্তির জন্য একজন প্রার্থী নিম্নরূপ গ্রুপ নির্বাচন করতে পারবে:
২.৩.১ বিজ্ঞান গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোন একটি ;
২.৩.২ মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোন একটি এবং
২.৩.৩ ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপ এর যে কোন একটি;
২.৩.৪ যে কোন গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপ এর যে কোন একটি;
২.৩.৫ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোন একটি এবং সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোন একটি।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি:
ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এস.এস.সি. বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী যে মহানগর/বিভাগ/জেলায় কর্মরত থাকবেন তার সন্তান সে মহানগর/বিভাগ/জেলায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন। মোট আসনের ৫% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বি.কে.এস.পি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই বাছাই পূর্বক শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জি পি এ এক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে) ভর্তির ব্যবস্থা নিবে ।
৩.৩.১ সমান জিপিএ প্রমিদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ কর হবে। বাংলাদেশ
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত ন সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
৩.৩.২ বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
৩.৩.৩ দফা ৩:৩২ এর বাইক উদ্ধৃত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যা ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিকেলর আনতে হবে।
৩.৩. মানষিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্র ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় জানতে হবে।
৩.৩৫ এক গ্রুপের প্রার্থী জন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জি.পি.এ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধরণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই করে উদ্ভুত জটিলতা পর্যাক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষ বা বিবেচনায় আনতে হবে।
এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তা শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্বারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে বিভাগে (বিজ্ঞান) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা ৩০ এর উপবিধান (৩.২) (n.) অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তিই অনলাইনে
কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েবসাইট এবং নেটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে
হবে।
3.1 সকল কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। কোন প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয় ও বোর্ড নির্ধারিত তারিখের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
অনলাইনে ভর্তি
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইট এর ঠিকানা: www.xiclassadmission.gov.bd
শিক্ষার্থীরা শুধুমার অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫(পাঁচ)টি এবং সর্বোচ্চ ১০(দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান কর
বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি ও ফি:
ده অনুচ্ছেদ ৮.২ অনুসরণপূর্বক কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন সংখ্যা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ, পিতৃ পুরুষ/ মহিলা/ সহশিক্ষা ভার্সন) এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি ফিসহ অনুমোদিত অন্যান্য সকল কি, ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইট প্রকাশ করবে।
.. বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত নির্ধরিত আসন সংখার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বোর্ডসমূহ স্ব অধিক্ষেত্রে অবস্থিত কলেজসানের প্রতিষ্ঠানে এই বিধানের ব্যত্যয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অনলাইনে বোর্ড থেকে প্রশ্ন ভর্তিয্যে প্রার্থীদের মেধাক্রম তালিকা কলেজের নোটিশ বোর্ড ও সং সমমানের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে
ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিস্ট/নম্বরপত্র দাখিল করতে হবে।








Post a Comment